এনারা কেউ সেলিব্রিটি নন।মানুষের জন্য কাজ করতে না পেরে এদের দমবন্ধ হয় না।প্রচারের আড়ালে নীরবে এই ভয়ঙ্কর সময়ে কাজ করছেন এই আসল পরম উপকারী মানুষেরা। কাগজে টিভিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে এত হতাশা আর নৈরাশ্যের খবরের মাঝে একগুচ্ছ আশার খবর।
আইটিসি-মেডিকা-পশ্চিমবঙ্গ সরকার- এখন যেখানে কোভিড বেডের জন্য হাহাকার সেখানে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে আইটিসি আর মেডিকা হসপিটালের সাহায্যার্থে তৈরী হল ২০০ বেডের কোভিড কেয়ার মেডিক্যাল ফেসিলিটি।ফোন-033 66520000
প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রদের কোভিড হেল্প ডেস্ক।১০০০ স্বেচ্ছাসেবক মিলে ফেসবুকে কোভিড ১৯ হেল্প ডেস্ক গড়ে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হাসপাতালে বেডের খবর,ওষুধ,অক্সিজেন,খাবার আর প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠাচ্ছেন এই দেবদূতেরা।facebook-Presidency Covid Help Desk
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রমজীবী ক্যান্টিন আর রেড ভলান্টিয়ার্স -গত এক বছর ধরে অঞ্চলের দুস্থ মানুষদের জন্য শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান,প্রাক্তন ছাত্র-অধ্যাপকরা।এর পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ওনারা রেড ভলেন্টিয়ার্স গ্রূপ খুলেছেন যেখানে কলকাতা ও শহরাঞ্চলে অঞ্চলভিত্তিক জরুরি পরিষেবা আর সাহায্যে এনারা সদাপ্রস্তুত।facebook-Red Volunteers Group
মুম্বাইয়ের রোজি সালডানহার কিডনি ফেইলিওরের জন্যে ৫ বছর ধরে ডায়ালিসিস চলে।এরই মধ্যে উনি মালওয়ানির হোলি মাদার স্কুলের প্রিন্সিপাল রফিক সিদ্দিকীর কাছ থেকে একটা ডিস্ট্রেস ফোনে জানতে পারেন ওদের এক কোভিড আক্রান্ত শিক্ষকের প্রাণ বাঁচাতে অক্সিজেন জরুরি।এক মুহূর্তও নিজের প্রয়োজনের কথা না ভেবে উনি তার বাড়ির প্রাণদায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠিয়ে দেন আর বলেন ‘মৃত্যুর আগে অন্যকে সাহায্য করতে চাই।’
মধু কান্দই।২০১৭ থেকে ক্লাউড কিচেনে ৩০ রকমের খিচুড়ি তৈরী করে সুলভে বিক্রি করতেন।এখন এই অতিমারিতে রেগুলার সাপ্লাই বন্ধ রেখে দুস্থ আর কোভিড আক্রান্তদের জন্য ২০০০ হাঁড়ি খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করেছেন যা প্রতি রবিবারে একটি যুথবদ্ধ দল যাদের দলের নাম রবিনহুড,তারা কলকাতার নানা প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছেন এই খিচুড়ি মিল।
নিউটাউন অঞ্চলের রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আর ওখানকার এনজিওরা মিলে ওখানকার প্রত্যেকটি হাউসিং কমপ্লেক্স স্যানিটাইজেশন,বাসিন্দাদের কো উইন অ্যাপ ডাউনলোড সাহায্য,অক্সিজেন প্রয়োজনীয়তার দিকে নিয়মিত নজর রাখছেন একটা সঙ্গবদ্ধ টিম তৈরী করে।
এনারা আর এঁদের মত আরও অনেক মানুষ,পুলিশ,হাসপাতালের ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী যাঁরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও এই বিধ্বস্ত সময় মানুষের পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন এঁদের জন্য কোনও পুরস্কারই যথেষ্ট নয়.এঁরা কোনও সিনেমার হিরো নন,এঁরা আমাদের প্রত্যেকের প্রণম্য ও পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা এই দেবদূতেদের প্রতি।
শেয়ার করুন :