২৫ হার্ট সুস্থ্য রাখার টিপস -

ছবি:শাটারস্টক

২৫ হার্ট সুস্থ্য রাখার টিপস

হার্ট অ্যাটাকের প্রতিরোধ আর প্রতিকারে বিশিষ্ট ডাক্তার,ডায়েটেশিয়ান পরামর্শ।

১)ডিপ্রেশন কমান :দূরে রাখুন অবসাদকে।সুইৎজারল্যান্ডের গবেষণা জানাচ্ছে অবসাদকে দূরে রাখতে পারলে হৃদযন্ত্রের সঙ্কট ৫৭% কমে যায়।

২)রোজের ডায়েটে আখরোট থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সাবলীল থাকে।আখরোটে ওমেগা থ্রি হার্টের গতিকে স্বাভাবিক রাখে।

৩)ঘুম থেকে উঠে পালস রেট চেক করুন।স্বাভাবিক পূর্ণবয়স্কদের নাড়ির গতি মিনিটে ৭০ বা তার কম থাকে।১ সপ্তাহ চেক করে যদি দেখেন ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে তাহলে কার্ডিওলোজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

৪)বেশি করে সিম,বরবটি খেলে তা ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে। 

৫)হাত মুঠো ব্যায়াম অভ্যাস।মুঠোর সঞ্চালন প্রসারণের ব্যায়াম ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে।হাইপার টেনশন জার্নাল জানিয়েছে এর ফলে রক্তের উর্ধচাপ ১০% কমানো যেতে পারে। 

৬)ডিম খান।সম্প্রতি ব্রাজিলীয় গবেষকরা জানিয়েছেন ডিম খাওয়া নিয়ে অহেতুক ভীতির কারণ নেই।ডিমের কুসুমে থাকা ভিটামিন ই,বি-১২,আর ফলেট করোনারি আর্টারিকে পরিস্কার রাখে তবে  বেশি ডিম খাওয়া কিন্তু  স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

৭)নিয়মিত কিলোমিটার হাঁটলে হার্ট ভালো থাকে বলে জানাচ্ছেন কার্ডিওলজিস্টরা।

৮)প্রাণায়াম করুন।যেকোনো ধ্যান আসনে বসুন বা সোজা হয়ে দাঁড়ান। আস্তে আস্তে দুই নাক দিয়ে যতটা প্রশ্বাস নিতে পারেন নিন।তারপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন।যতটা সময় ধরে প্রশ্বাস  নিয়েছেন ততটা সময় ধরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। নিঃশ্বাস ছাড়া হয়ে গেলে আবার আগের মতো দুই নাক দিয়ে প্রশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এইভাবে তিন মিনিটে যতবার পারেন প্রশ্বাস নিন এবং ছাড়ুন।  

৯)কম ঘুম বেশি ঘুম।যারা রাতে বেশি সময় ধরে ফোন নিয়ে থাকেন অথবা অনিদ্রায় ভোগেন তাঁরা অন্যদের থেকে ৪৫% শতাংশ বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন আবার বেশি ঘুম ও কিন্তু ক্ষতিকর।দিনে ১০ ঘন্টার বেশি ঘুমোনোও মোটা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।   

১০) রোজের ডায়েটে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন যেমন কলা, শশা, শাক, পেয়ারা, কমলালেবু, রাঙালু, খেজুর,রাজমা,চারাপোনা,মুরগি।

১১) খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কমাতে হবে।চর্বিযুক্ত পাঁঠার মাংস খাওয়া কমাতে হবে।

১২)একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করুন।হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন যারা ফ্যামিলি ব্রেকফাস্ট টেবিল মিস করেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২৭% বেশি থাকে।

১৩)এনার্জি ড্রিঙ্কস খাওয়া বন্ধ করুন।শক্তিবর্ধক এইসব পানীয়কে হার্টের শত্রু হিসেবে গণ্য করুন।এইসব পানীয় কোনও উপকারে তো আসেইনা বরং ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে আপনার ক্ষতি করে।

১৪) দুধ খান।গরুর দুধে থাকা লো ফ্যাট হৃদযন্ত্রের কম ঘনত্বসম্পন্ন লিপোপ্রোটিনের হার কমাতে সাহায্য করে।পাশাপাশি দুধে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরে জমে থাকা চর্বির স্তর কাটতেও ভূমিকা রাখে।

১৫)পেট (পোষ্য) রাখতে পারেন।নীরোগ থাকতে বাড়িতে পোষা কুকুর বেড়াল পাখির প্রতি ভালবাসা,স্নেহ,মমতা হার্টের পক্ষে ভাল।

১৬)গান ভালোবেসে গান।হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে গলা ছেড়ে গান গাইতে বলছেন ডাক্তারেরা।আর দলবেঁধে গান আর হাসিখুশি হৃদযন্ত্রকে খুশি রাখে।

১৭)দারচিনি।খাদ্য তালিকায় দারচিনির ব্যবহার হৃদপিন্ডকে সতেজ করে তুলতে অনন্য ভূমিকা রাখে।প্রতিদিনের খাবারে দারচিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনে।

১৮)শাকাহারী।যাদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন অন্তত দু একটি শাকপাতা থাকে তাদের হৃৎপিন্ড অন্যদের তুলনায় ১২% বেশি সবল থাকে।

১৯)প্রতিদিন ১০ মিনিট  সাইক্লিং করলে হার্টের পেশী খুব ভালো থাকে।

২০)রং বেরঙের সব্জি বা তরকারির প্রতি আগ্রহ বাড়ালে আপনার রক্তচাপকে অনিয়মিত প্রবাহের হাত থেকে সুরক্ষা দেবে যা হার্টের পক্ষে খুব উপকারী।

২১)ধূমপান ছাড়তেই হবে।কমিয়ে কোনও লাভ নেই।যত কষ্ট করেই হল ধূমপান ছাড়তেই হবে।          

২২)নিয়মিত কোলেস্ট্রল আর ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করতে হবে।

২৩) বিএমআই অনুযায়ী নিজের যদি ওয়েট মেন্টেন করতে হবে।মোটা হয়ে যাওয়া হার্টের পক্ষে ভাল নয়।ওবেসিটি অনেক ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২৪) স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট।এই অতিমারী সময়ে আমাদের সবার স্ট্রেস,দুশ্চিন্তা,আতঙ্ক স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশি তাই হার্ট অ্যাটাকের  ঝুঁকিও অনেক বেশি তাই এই চাপ কাটানোর জন্য গান শোনা,কফি কম খাওয়া,চিউইং গাম খাওয়া,মর্নিং ওয়াক বা এক্সসারসাইজ করার অভ্যাস স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে।

২৫) নিয়মিত হার্ট চেক আপ খুবই জরুরি কারণ এতে অনেক ঝুঁকি এড়ানো যায় কারণ অনেকক্ষেত্রে রেগুলার কার্ডিওভাস্কুলার স্ক্রিনিং ওয়ার্নিং কল হিসেবে দেখা দিয়ে বড় ক্ষতি এড়ানো গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ৪০ বছর বয়েসের পর বছরে দুবার লিপিড প্রোফাইল আর ইসিজি পরীক্ষা করানো উচিত।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *