করোনাসুরের ভয় আর বিপর্যয় কাটিয়ে সব সুরক্ষাবিধি মেনে একঝাঁক পুজোর খবর। প্রথম পর্ব।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং : এবার সব কিছু মেনে থিম ভাবনা কেদারনাথ মন্দির। গৌরীকুন্ড থেকে ২২ কিলোমিটার ট্রেক না করেই গাঢ়ওয়াল অঞ্চলে মন্দাকিনী নদীর ধারে কেদার মন্দির তীর্থের অপার মহিমার এক ঝলক এখানে দেখা যাবে।
দমদম পার্ক তরুণ সংঘ : ‘ছোট বাজেটে বড় পরীক্ষা’। হ্যাঁ এটাই ওঁদের থিম ,বড় ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন ওনারা ছোট বাজেটেও সুচারু রুচিশীল ভাবে কত সুন্দর করে পুজো করা যায় এটা সব পুজোরই এবারের থিম যা ওনারা সামনে আনলেন।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার : এদের ভাবনা বদ্রীনাথ মন্দির। চার ধামের এক ধাম এই বদ্রীনাথ বিষ্ণু মন্দির। গাঢ়ওয়াল অঞ্চলের অলকানন্দা নদীর ধারে চামোলি জেলার এই তীর্থক্ষেত্রর দর্শন পাওয়া যাবে এখানে।
যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি : এবারের ভাবনা দুর্গা রথ।জগন্নাথ দেবের মত মা দূর্গা এখানে রথে আসীন।এই দূর্গা রথ একটি অভিনব ভাবনা তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
খিদিরপুর ২৫ পল্লী : যখন পুজো হবে কিনা এই দুশ্চিন্তায় সবাই আকুল তখন এঁদের ভাবনা :’বাধা পেরিয়ে মা আসবেন’ নিঃসন্দেহে একটা সদর্থক প্রয়াস।
৯৫ পল্লী যোধপুর পার্ক : এবারের ভাবনা লৌকিক। সাধারণ,মনুষ্য সমাজীয় মানবিক পার্থিব ভাবনার সমন্বয় এবারের পুজোর থিম।
হরিদেবপুর ৪১ পল্লী ক্লাব : এবছরের এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের ফলে জীবনের সব রং যেন অনুজ্জ্বল। সেই ভাবনা নিয়ে সত্যের মুখোমুখি এঁদের এবছরের ভাবনা ‘বিবর্ণ’। বিবর্ণর ও একটা রূপ আছে সেটাই এনারা তুলে ধরতে চাইছেন।
বেহালা নতুন সংঘ : ‘যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক,আমি তোমায় ছাড়ব না’।হ্যাঁ এই অতিমারীতে এর চেয়ে বড় সত্য বোধহয় বাঙালি জীবনে নেই আর সেটাই এঁদের ভাবনা। দুর্গা পুজো ছাড়া বাঙালি জীবন ভাবা যায় ?
সিমলা ব্যায়াম সমিতি : একসময় বিপ্লবীদের আখড়া ছিল। স্বামীজীর ভাই মহেন্দ্রনাথ দত্ত এই পুজোয় জড়িয়েছিলেন।নেতাজি সভাপতি ছিলেন।উত্তর কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী পুজোর ভাবনা ‘সাবেকিয়ানা’ ছাড়া আর কীই বা হতে পারে।
আহিরীটোলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি : ২০১৮ তে রাজবাড়ী,২০১৯ এ ‘অজান্তে’র পর উত্তর কলকাতার আর এক বনেদি ঐতিহ্যশালী পুজোর এবারের ভাবনা ‘মায়ের অঙ্গন’।কমিটির প্রেসিডেন্ট সুশান্ত কুমার সাহা জানালেন ‘এবারে ৮১ তো বর্ষে সবার সুরক্ষাই প্রধান বিবেচ্য/ স্যানিটাইজার আর মাস্কের ব্যবস্থা তো থাকছেই আর এ ছাড়া কাউকে মণ্ডপে ঢোকার বিধি নিষেধ ও বহাল থাকছে।
জরুরি তথ্য:
আসান অ্যাপ :কলকাতা পুলিশ,কলকাতা কর্পোরেশন,ফায়ার ব্রিগেডের সমন্বয় এই অ্যাপ অন্যান্য নিয়মাবলী ছাড়াও কোভিড গাইডলাইন্স নিয়ে আসছেন।
করোনা সংক্রমণ কিন্তু বাড়ছে। বেপরোয়া,বেলাগাম হয়ে বেরিয়ে পড়বেন না।মাস্ক,স্যানিটাইজার,৬ ফুট দূরত্ব আর পুজো মণ্ডপের সব বিধিনিষেধ মেনে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেই ঠাকুর দেখতে বেরোবেন। ভিড় এড়িয়ে চলুন তাতে এবছর দুটো ঠাকুর কম দেখলে পাপ হবে না।
প্রতীকী ছবিঃ গত বছরের। ফেসবুক থেকে।
শেয়ার করুন :