৫টি সুবিধে কেন ইন্টেরিয়র ডেকরে ল্যামিনেট অন্যান্য কাউন্টারটপের তুলনায় সেরা -

৫টি সুবিধে কেন ইন্টেরিয়র ডেকরে ল্যামিনেট অন্যান্য কাউন্টারটপের তুলনায় সেরা

নান্দনিকতা আর বৈচিত্র্য,চটপট ইনস্টলেশন,সাশ্রয়ী দাম …

আপনার কিচেন স্পেস সাজানোর সময় আমরা সবাই চাই এমন কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে, যা টেকসই তো বটেই, আবার চোখে পড়লেই ভালো লাগে। রান্নাঘরকে একটু স্টাইলিশ, একটু নান্দনিক করে তোলার মজাই আলাদা। এখন আর সেটা পাওয়া কঠিন নয়,ল্যামিনেট তো একেবারেই হাতের নাগালে! বাজারে এখন ল্যামিনেটের রাজত্ব, আর অন্য সব কাউন্টারটপকে অনায়াসে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে। তাই বলাই যায়, মডার্ন কিচেনের প্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ল্যামিনেট।

হোমমেকাররা  এখন বারবার অন্য কাউন্টারটপ উপকরণের বদলে ল্যামিনেট বেছে নিচ্ছেন। প্রশ্ন জাগতেই পারে ল্যামিনেট নিয়ে এত উৎসাহ উদ্দীপনা কেন? এর উত্তর সহজ ,কারণ এটা টেকসই, মজবুত, ব্যবহারিক আর এক কথায় দারুণ!এখন  আমরা দেখে নেব ল্যামিনেট ব্যবহারের সেরা ৫টি সুবিধা, আর কীভাবে এর স্টাইলিশ শোভা  আপনার রান্নাঘরকে আরও সুদৃশ্য করে তুলতে পারে।

নান্দনিকতা আর বৈচিত্র্য

ল্যামিনেটের সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ এখানেই! শুধু টেকসই আর ব্যবহারিকই নয়, এর শোভাও আশ্চর্য সুন্দর এবং সুরুচিপূর্ণ। বাজারে আজকাল অসংখ্য স্টাইলের ল্যামিনেট পাওয়া যায়, যেগুলো আপনার ঘরে এনে দিতে পারে ঝলমলে একটা গ্ল্যাম টাচ। রঙ, ডিজাইন, এমনকি সাইজেও রয়েছে নানা বৈচিত্র যা আপনার রান্নাঘরের পুরো চেহারাই পালটে দিতে পারে।

একবার এই বিশেষভাবে তৈরি প্লাইউড বেসড ল্যামিনেট ব্যবহার করলে আর অন্য কোনো কাউন্টারটপ উপকরণ ব্যবহারের ইচ্ছে হবে না। পাতলা কাঠের ভিনিয়েরের  স্তর একের পর এক চাপ দিয়ে তৈরি এই ল্যামিনেট শুধু দীর্ঘস্থায়ীই নয়, এর দারুণ আকর্ষণীয় সৌন্দর্যে আপনার ঘরকে  স্বর্গীয় বাসস্থান করে তুলবে।

ল্যামিনেট পাওয়া যায় নানান রকম প্যাটার্ন আর চটকদার ফিনিশে। আপনি যদি এখনও এই সারফেস-লেয়ার প্রোডাক্ট আপনার ফার্ণিচার বা রান্নাঘরে ব্যবহার না করে থাকেন, তবে সত্যিই অনেক কিছু হারাচ্ছেন ! ঘরের চেহারা  একেবারে বদলে দেওয়ার মতো আকর্ষণ রয়েছে এতে। নান্দনিকতা আর কার্যকারিতা দুটো চাহিদা মেটাতে ল্যামিনেটের জুড়ি মেলা ভার।

সহজ মেন্টেনেন্স

কোনও  কিছু কেনার পর সবার মাথায় প্রথমেই আসে কীভাবে বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই জিনিসটার নতুন ভাবটা টিকিয়ে রাখা যায়? ল্যামিনেটের ক্ষেত্রে এজন্য একেবারেই বাড়তি কষ্ট করতে হবে না। এর টেকসই আর পরিষ্কার রাখার সুবিধে অন্য সাধারণ কাউন্টারটপ উপকরণের মতো অত বাড়তি খেয়াল দাবি করে না। তাই সহজে ব্যবহার করুন, নিশ্চিন্তে ঝকঝকে রাখুন !

তবে একটা জিনিস মাথায় রাখলেই হল, হালকা কোনো ক্লিনিং এজেন্ট আর নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই ল্যামিনেটের ঝলমল ভাব অনেক দিন অটুট থাকবে। এর জন্য আলাদা করে দামি ক্লিনিং লিকুইড কেনার দরকার নেই। অন্য কাউন্টারটপ পরিষ্কার করতে যত খাটাখাটনি আর সময় লাগে, তাতে যে কারোরই ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে। কিন্তু ল্যামিনেটের ক্ষেত্রে সামান্য মুছে দেওয়াই যথেষ্ট, রান্নাঘর হয়ে উঠবে ঝকঝকে। তাই বলাই যায়, সুস্বাদু রান্নার গন্ধে ভরা একেবারে পারফেক্ট কিচেনের জন্য প্রিমিয়াম-কোয়ালিটি ল্যামিনেট হওয়া জরুরি!

চটপট ইনস্টলেশন

কাউন্টারটপ বসানোর কথা শুনলেই মাথায় ভর করে একরাশ দুশ্চিন্তা,এত কাজ, এত খাটুনি! অনেক সময় মনে হয়, ঝটপট শেষ করে ফেলা যাক, ফিনিশিংটা যতই খারাপ হোক না কেন। কিন্তু ডেকরেটিভ ল্যামিনেট থাকলে সেই ভয় আর নেই। এর ইনস্টলেশন একেবারেই ঝামেলাহীন আর চটপটে ,আক্ষরিক অর্থে চোখের পলকে আপনার কিচেন পেয়ে যাবে একদম নতুন সাজ !

সাধারণত কিচেনে  কাউন্টারটপ বসাতে হলে গৃহস্থরা পেশাদারদের ডাকেন। কিন্তু ল্যামিনেটের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারে আলাদা। চাইলে আপনি নিজেই লাগিয়ে নিতে পারেন, অথবা ন্যূনতম ঝামেলায় পেশাদারের সাহায্য নিয়ে ফেলতে পারেন। আর সবচেয়ে ভালো দিক হল এতে সময় আর খরচ দুটোই বাঁচে দীর্ঘমেয়াদের জন্য।

কিচেনের জন্য কিছু কিনতে বেরোলে শুধু ল্যামিনেট খুঁজে নিলেই হল। এতে আপনার কাউন্টারটপ বসানো হবে একেবারে ঝামেলামুক্ত আর মিনিটের মধ্যেই কাজ সেরে যাবে। ব্যস! ল্যামিনেট বাঁচিয়ে দেবে আপনার একগাদা সময়, পরিশ্রম আর অর্থ।

বাজেট-ফ্রেন্ডলি

রান্নাঘরের জন্য কাউন্টারটপ বাছতে গেলে সবাই চায় টেকসই, দারুণ মানের এমন একটা উপাদান, যেটা বাজারের অন্য যেকোনো কাঠের ভিনিয়ারের থেকেও বেশি দিন টিকে থাকবে। আর সেই সঠিক সমাধানই হলো ল্যামিনেট। এখন স্বাভাবিকভাবেই মাথায়  প্রশ্ন আসবে যে এত ভালো মানের কাউন্টারটপের দাম কেমন?

ল্যামিনেট নাকি ভীষণ দামি ,এটা আসলে একেবারেই ভুল ধারণা। সত্যিটা হলো, ল্যামিনেট নানা রকম স্টাইল, সাইজ আর প্যাটার্নে পাওয়া যায়, আর এর মধ্যে সবচেয়ে বাজেট-ফ্রেন্ডলি অপশনই হচ্ছে কিচেন কাউন্টারটপ। দাম কম হলেও মানের কোনো ঘাটতি নেই,শুধু খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিষ্ঠিত এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো কোম্পানি থেকে কেনা হয়।

ল্যামিনেট কেনার আগে আপনি চাইলে আগেভাগেই একটা বাজেট ঠিক করে নিতে পারেন। তবে শুধু দাম নয়, খেয়াল রাখতে হবে যাতে সেটা আপনার বাড়ি আর কিচেনের আসল চরিত্রকেও ফুটিয়ে তোলে। ভালো মানের ল্যামিনেটে থাকে বাড়তি কিছু গুণ,যেমন বোরার আর উইপোকার হাত থেকে সুরক্ষা, ভাইরাস-প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য, নন-পোরাস সারফেস ইত্যাদি। তাই সবসময় বেছে নিন সেরা ল্যামিনেট, যা শুধু কার্যকরী নয়, আপনার রান্নাঘরকে দেবে এক মার্জিত সুরুচিপূর্ণ সৌন্দর্যের  স্পর্শ।

প্রি-ফিনিশিং সুবিধা

আমরা সাধারণত যে রঙ কোনো সারফেসে দিই, সেটার উপরে আবার সমানভাবে বসানোর জন্য আরও এক-দু’টো লেয়ার দিতে হয়। কিন্তু ল্যামিনেটের ক্ষেত্রে সেই ঝামেলা একেবারেই নেই। কারণ, এটা নিজেই প্রি-ফিনিশড প্রোডাক্ট,যা স্বাভাবিকভাবেই ফার্ণিচারের মতো জিনিসে তৈরি হওয়ার পরেও  একেবারে নিখুঁত ফিনিশ আর স্বাভাবিক সৌন্দর্যসৃষ্টি করে । যেমনটা আপনি ঘরে সাধারণ টাইল বসানোর সময় দেখেছেন,শেষে অতিরিক্ত লেয়ার দিতে হয় সেটি সুন্দরভাবে মেলানোর জন্য।

ল্যামিনেট বসানোর পর আর কোনো আলাদা ফিনিশিং প্রক্রিয়ার দরকার হয় না,এটাই একে গৃহস্থদের কাছে আরও লোভনীয় করে তোলে। তার উপর টেকসই, সহজে ইনস্টলেশন আর কম মেন্টেনেন্সের সুবিধা তো আছেই। আরও মজার ব্যাপার হলো, কিছু প্রিমিয়াম ল্যামিনেট প্রস্তুতকারক এখন তাদের প্রোডাক্টে আধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করছেন, যা ল্যামিনেটকে করে তুলছে আরও স্মার্ট আর ফিউচার-রেডি।

এর ফলে ল্যামিনেটের গুণাগুণ আরও বেড়ে যায়, আর একে হয়ে তোলে একেবারে শ্রেষ্ঠ ল্যামিনেট যা অস্বীকার করা কঠিন। তাই পরের বার যখন কোনো কনস্ট্রাকশন দোকানে যাবেন, কিচেনের জন্য ল্যামিনেট কাউন্টারটপ খুঁজতে ভুলবেন না। অনন্য সব স্টাইল আর ডিজাইনে পাওয়া যায় এগুলো, যা আপনার নান্দনিক আকর্ষণকে মাথায় রেখে তৈরি। এক কথায়, এই মুহূর্তে এর চেয়ে ভাল আর কিছু নেই!

পরিশেষে

তাহলে কি আপনার রান্নাঘরের থিম আর অ্যাম্বিয়েন্স ঠিক হয়ে গেছে? বাজারে ল্যামিনেটের এত রকম সম্ভার  দেখে যে কেউ বিভ্রান্ত হয়ে  যেতে পারে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই, সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস Century  Laminates-ই হতে পারে আপনার খোঁজের সঠিক গন্তব্য। তারা গ্রাহকদের জন্য দারুণ মানের ল্যামিনেট দিয়ে থাকে একেবারে সাশ্রয়ী দামে।

ভাইরোকিল  টেকনোলজি দিয়ে তৈরি সেঞ্চুরি ল্যামিনেটস  CenturyLaminates-এর ল্যামিনেট ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাসের বিরুদ্ধে একেবারে কার্যকর প্রতিরোধী ঢাল তৈরি করে,ফলে আপনার রান্নাঘর থাকবে একেবারে দাগহীন আর স্বাস্থ্যকর। শুধু তাই নয়, এগুলো উইপোকা আর বোরার হাত থেকেও দারুণভাবে সুরক্ষা দেয়। তাই বুঝে-শুনে ল্যামিনেট বেছে নিন, আর সাধারণ রান্নাঘরকে করে তুলুন একেবারে নান্দনিক এবং মহাকাব্যিক !

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *