কলকাতার ইতিহাস শুধু ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বা ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শহরের অলিগলিতে লুকিয়ে আছে এমন কিছু স্থান, যা কলকাতার গৌরবময় অতীতের ভিন্ন গল্প বলে। অথচ পর্যটকদের ভিড় সেখানে প্রায় পৌঁছায়ই না।৫টি আপাত অজানা ঐতিহাসিক ভবন ও মিউজিয়াম।

বেহালা রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহালয়: বাংলার ইতিহাসের নতুন ঠিকানা
ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে বেহালা বাজারের দিকে এগোলে, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের ঠিক পেছনেই নাফার চন্দ্র দাস রোডে রয়েছে ইতিহাসের এক নিস্তব্ধ সাক্ষী— পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহালয়। ২০১১ সালে নতুন আঙ্গিকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এই আধুনিক ভবনটি এখন বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক বিশাল ভান্ডার। কলকাতার কেন্দ্রস্থল থেকে দূরে হলেও, এই সংগ্রহশালাটি প্রত্নতত্ত্বপ্রেমী ও গবেষকদের কাছে এক অপরিহার্য গন্তব্য।
এই সংগ্রহালয়ের মূল উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন (excavation) থেকে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলিকে সংরক্ষণ করা এবং সাধারণ মানুষের সামনে বাংলার এক সামগ্রিক ইতিহাস তুলে ধরা। এর গ্যালারিগুলি সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো, যেখানে প্রতিটি নিদর্শনকে কালানুক্রমিকভাবে (chronologically) উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও মৃৎশিল্পের জগৎ
জাদুঘরের প্রবেশপথেই দর্শককে স্বাগত জানায় বাংলার মৃৎশিল্পের বিশাল সম্ভার। প্রথম গ্যালারিটি প্রাগৈতিহাসিক যুগ এবং আদি ঐতিহাসিক যুগের ইতিহাস নিয়ে গঠিত। এখানে আপনি দেখতে পাবেন পাণ্ডুরাজার ঢিবি এবং চন্দ্রকেতুগড়-এর মতো বিখ্যাত প্রত্নস্থল থেকে প্রাপ্ত মাটির পাত্র, ছোট ছোট মাটির পুতুল (টেরাকোটা) এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। এই মৃৎপাত্রগুলির নকশা এবং আকার-আকৃতি সেই সময়ের মানুষের জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস এবং শিল্পবোধের পরিচয় বহন করে। বিশেষ করে, চন্দ্রকেতুগড় থেকে প্রাপ্ত গ্রিক-রোমান প্রভাবযুক্ত এবং স্থানীয় মোটিফের মিশ্রণগুলি তৎকালীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে। এই বিভাগে প্রদর্শিত প্রাচীন অস্ত্র ও হাতিয়ারগুলি প্রস্তর যুগ থেকে ধাতব যুগে মানুষের বিবর্তনের ধারাপথ তুলে ধরে।
ভাস্কর্যের স্বর্ণযুগ: পাল ও সেন শিল্পকলা
সংগ্রহালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধ অংশটি হল বাংলার পাল ও সেন যুগের ভাস্কর্য গ্যালারি। এই সময়েই বাংলার শিল্পকলা এক চরম উৎকর্ষে পৌঁছেছিল। গ্যালারিতে মূলত কালো কষ্টিপাথরের তৈরি দেব-দেবীর মূর্তিগুলি প্রাধান্য পেয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— বিষ্ণু, সূর্য, শিব-পার্বতী, উমা-মহেশ্বর এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ দেব-দেবী। প্রতিটি ভাস্কর্য তার সূক্ষ্ম অলঙ্করণ, নিখুঁত অঙ্গবিন্যাস এবং প্রাণবন্ত মুখের অভিব্যক্তির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। শিল্পীরা কীভাবে পাথরের মতো কঠিন মাধ্যমেও এত মসৃণতা এবং মানবিক আবেগ ফুটিয়ে তুলতেন, তা এই ভাস্কর্যগুলি দেখলে বোঝা যায়। এই বিভাগটি ধর্মীয় সহাবস্থান এবং তৎকালীন বাংলার শৈল্পিক শ্রেষ্ঠত্বকে নিশ্চিত করে।
ধাতব শিল্প ও শিলালিপির দলিল
পাথরের পাশাপাশি, সংগ্রহালয়টিতে ব্রোঞ্জ ও অষ্টধাতুর (octo-alloy) তৈরি ছোট ভাস্কর্য এবং ধাতব শিল্পের নিদর্শনও রাখা হয়েছে। এই ধাতব মূর্তিগুলি সাধারণত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হতো। এগুলি পাল যুগের শেষ ভাগ এবং পরবর্তী সময়ের কারিগরি উৎকর্ষ প্রমাণ করে।
এছাড়াও, জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো শিলালিপি (Inscriptions) এবং মুদ্রা (Coins) বিভাগ। বিভিন্ন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ শিলালিপিগুলি (যেমন, তাম্রশাসন) বাংলার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ভূমি সংক্রান্ত ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য দলিল হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি, গুপ্ত, সুলতানি এবং মুঘল আমলের মুদ্রাগুলি অর্থনৈতিক ইতিহাস এবং বিভিন্ন সাম্রাজ্যের প্রভাবের ক্ষেত্র সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য দেয়।
বেহালার এই সংগ্রহালয়টি কেবল ইতিহাসবিদ বা গবেষকদের জন্য নয়; এটি সাধারণ দর্শক, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের জন্য এক শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা। পুরোনো ভবনের গ্যালারির ভিড় বা ঘিঞ্জি পরিবেশের বদলে এখানে প্রতিটি নিদর্শনকে যথেষ্ট আলো ও স্থান দিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে, যাতে দর্শক মনোযোগ সহকারে সেগুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্রতিটি বিভাগের পাশে রয়েছে বিশদ তথ্যপঞ্জি, যা দর্শনার্থীদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করে।
এই প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহালয়টি প্রমাণ করে, বাংলার ইতিহাস শুধু বইয়ের পাতায় নয়, বরং আমাদের হাতের নাগালেই মাটির গভীর থেকে উঠে আসা এক জীবন্ত সত্য। বেহালায় এর অবস্থান হয়তো এটিকে পুরোনো শহর থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে, কিন্তু এর গুরুত্ব বা আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমেনি। যারা বাংলার মাটি ও সংস্কৃতিকে গভীরভাবে জানতে চান, তাদের জন্য এই সংগ্রহালয়টি এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
সময়- বুধ-রবি ১১-৪।

নিপ্পনজান মিয়োহোজি বৌদ্ধ মন্দির: কলকাতার নীরবতার এক গোপন আশ্রয়
দক্ষিণ কলকাতার ব্যস্ততার মাঝেই এমন এক জায়গা আছে, যেখানে ঢুকলেই শহরের শব্দ যেন অদৃশ্য হয়ে যায়। বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে নিপ্পনজান মিয়োহোজি বৌদ্ধ মন্দির—কলকাতার বহু বাসিন্দাই জানেন না এই শান্ত, সাদা স্থাপনাটির কথা। বাইরে থেকে সাধারণ মনে হলেও ভেতরে পা দিলেই যে নিস্তব্ধতার আবরণ অনুভব হয়, তা আলাদা করে অনুভব না করলে বোঝা যায় না।
জাপানি স্থাপত্যশৈলীর প্রভাবে তৈরি মন্দিরটির চত্বরে পা রাখতেই চোখে পড়ে পরিচ্ছন্ন বাগান, ছায়াঘেরা পথ এবং এক গভীর শান্তি। এখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা প্রতিদিন প্রার্থনা করেন, আর সেই মন্ত্রোচ্চারণের তাল শহরের কোলাহল থেকে যেন এক অন্য জগতের দরজা খুলে দেয়। সাধারণ দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থনায় অংশ না নিলেও, মন্দিরচত্বরে বসে কিছুক্ষণ ধ্যান বা নীরবতায় কাটিয়ে দেওয়া এক বিরল অভিজ্ঞতা।
কলকাতার ‘হিতার্থে অজ্ঞাত’পর্যটন তালিকায় নিপ্পনজান মিয়োহোজি তাই একদম ওপরের সারিতে—যেখানে ভ্রমণ মানে শুধু দেখা নয়, নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোও। যারা শীতের সকালে মন শান্ত করতে চান, তাদের জন্য এটি নিখুঁত একটি গন্তব্য।
সময়-ভোর ৫.৩০- দুপুর ১২.৩০ দুপুর ৩.৩০ -সন্ধ্যে ৭.৩০।

ম্যাগেন ডেভিড সিনাগগ: কলকাতার বহুসংস্কৃতির নীরব সাক্ষী
কলকাতার গণেশ টকিজের মোড় পেরোলেই হঠাৎ চোখে পড়ে লাল ইটে গড়া এক বিশাল স্থাপনা ম্যাগেন ডেভিড সিনাগগ। ব্যস্ত বউবাজারের ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এই ইহুদি উপাসনালয়টিকে অনেকেই শুধুই পুরোনো বাড়ি ভেবে পাশ কাটিয়ে যান, অথচ এর ভেতরে লুকিয়ে আছে শহরের বহুস্তরের ইতিহাসের অনন্য একটি অধ্যায়।
আঠেরোশ শতকের শেষ দিক থেকে কলকাতা ছিল ইহুদি বণিকদের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। সেই স্মৃতি আজও বাঁচিয়ে রেখেছে এই সিনাগগটি। বাইরে থেকে গথিক ধাঁচের টাওয়ার আর খিলান চোখে পড়লেও, ভেতরে ঢুকলেই পরিবেশ বদলে যায়,দীর্ঘ বারান্দা, কাঠের পালিশ করা বেঞ্চি, আর নীরবতার মধ্যে স্থির হয়ে থাকা প্রার্থনাকক্ষ যেন সময়কে থমকে দেয়।
এখানে প্রবেশ করলে বুঝতে পারবেন, উপাসনালয়ের সৌন্দর্য শুধু স্থাপত্যেই নয়, বরং তার নিভৃত আবহে। নীল-সোনালি রঙে সজ্জিত বীমাহ, স্টেইনড-গ্লাসের নরম আলো আর উঁচু ছাদের প্রতিধ্বনি মিলেমিশে এমন এক অনুভূতি তৈরি করে, যা অন্য কোথাও পাওয়া কঠিন। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও, সাধারণ দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে ভেতরে ঘুরে দেখতে পারেন।
কলকাতা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা হলো এ শহর মন্দির, মসজিদ আর গির্জার সহাবস্থানের জায়গা। কিন্তু ম্যাগেন ডেভিড সিনাগগ সেই ছবিটিকে আরও ব্যাপ্ত করে, মনে করিয়ে দেয় যে এই শহরের আত্মা তৈরি হয়েছে বহু সম্প্রদায়ের মিলনে। শীতের দিনে এখানে কয়েক মিনিট দাঁড়ালেই বোঝা যায়ঐতিহ্য শুধু সংরক্ষণ নয়, অনুভব করারও বিষয়।
সময়-সোম-বৃহস্পতি,রবি ১০-৪।শুক্র -শনি বন্ধ থাকে।

আর্মেনিয়ান চার্চ: কলকাতার এক নীরব ইতিহাস
কলকাতার বড়বাজারের ব্যস্ত বাইলেনের মধ্যে লুকিয়ে, আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে থাকা আর্মেনিয়ান চার্চ অফ দ্য হলি নাজারেথ (Armenian Church of the Holy Nazareth) শুধু একটি উপাসনালয় নয়, এটি শহরের এক জীবন্ত ইতিহাস। ১৬৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৭২৪ সালে এটি বর্তমান রূপ পায়, যা এটিকে কলকাতার প্রাচীনতম চার্চ করে তুলেছে।কথিত আছে, বাংলায় ব্রিটিশদের আগমনেরও আগে থেকে আর্মেনীয় ব্যবসায়ীরা এখানে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের একজন, আগাহ মেহদি ইস্ফাহানি-র উদ্যোগে এবং অর্থে এই চার্চটি গড়ে ওঠে। এটি এমন এক সময়ের কথা যখন ইউরোপীয় বণিকদের ধর্মীয় স্থান তৈরির অধিকার ছিল সীমিত, কিন্তু আর্মেনীয়রা সেই স্বাধীনতা পেয়েছিলেন। এটা প্রমাণ করে, ব্রিটিশ শাসনের আগেও এই শহরে আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের প্রভাব কতখানি ছিল।
চার্চের ভেতরের শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ এক অন্যরকম অনুভূতি দেয়। উঁচু সিলিং, মার্বেল পাথরের মেঝে এবং দেওয়ালে খোদাই করা আর্মেনিয়ান লিপির স্মৃতিফলকগুলি দেখলে মনে হয় যেন সময় থমকে আছে। বাইরে কলকাতার কোলাহল থাকলেও, ভেতরে প্রবেশ করলে এক গভীর নিস্তব্ধতা অনুভব করা যায়। স্থানীয় প্রবীণরা বলেন, এর ঘণ্টা যখন বাজে, তখন তা শুধু বেহালার শব্দ হয় না,তা যেন তিনশো বছরের পুরোনো ইতিহাসের প্রতিধ্বনি। এই চার্চ আজও এই শহরের বহুত্ববাদের এবং ধর্মীয় সহাবস্থানের প্রতীক। এখানে এলেই বোঝা যায়, কীভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের হাত ধরে বহু সংস্কৃতি এসে এই বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে।
সময়-সোম-শুক্র ৯.৩০ -৪.৩০ শনি -১০ -৫,রবি- ৯-২।

গুরুসদয় মিউজিয়াম, যাদবপুর
যাদবপুরে অবস্থিত এই গুরুসদয় সংগ্রহালয়ে বাংলার লোকশিল্প ও লোকসংস্কৃতির জন্য এক বিশেষ পরিচিতি বহন করে। এখানে সংগৃহীত হয়েছে প্রায় ৩,০০০-এরও বেশি অমূল্য লোকশিল্পের নিদর্শন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিরল পটচিত্র, নকশি কাঁথা, লোকনৃত্য ও পূজার মুখোশ, এবং কাঠ ও ধাতুর কারুকার্য। এটি বাংলার গ্রামীণ জীবনধারা ও শিল্পের সঙ্গে সরাসরি পরিচয় করিয়ে দেয়, যা আধুনিক শহুরে জীবনের ভিড়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। এই চমৎকার প্রদর্শনীগুলি গ্রাম বাংলার শক্তি, প্রাণবন্ততা এবং জীবনের ছবি উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরে। এখানে এলে আপনি দেখতে পাবেন সেই সময়ের শিল্প ও সামাজিক ঐতিহ্য, ধর্মীয় বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান ও লোকনকশাগুলির এক সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি— যা নান্দনিক সংমিশ্রণ এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা বলে।
সংগ্রহে থাকা এই অমূল্য নিদর্শনগুলি অবিভক্ত বাংলা থেকে শুরু করে বর্তমান ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত সময়ের ইতিহাসকে বহন করে চলেছে।
এই জাদুঘরে নিয়মিতভাবে বিশেষজ্ঞ সংরক্ষণবিদদের তত্ত্বাবধানে নিদর্শনগুলির বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মেরামত, পুনরুদ্ধার ও চিকিৎসা করা হয়। বিশেষ করে বিরল বইয়ের বাঁধাই, পাণ্ডুলিপিগুলির ল্যামিনেশন, অ্যাসিডমুক্তকরণ এবং ধোঁয়া দিয়ে শোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি এখানে দক্ষতার সাথে করা হয়ে থাকে। ফলস্বরূপ, গুরুসদয় মিউজিয়াম শুধু অতীতকে ধারণ করে না, বরং যত্ন সহকারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিহাসকে বাঁচিয়েও রাখে।
সময় -মঙ্গল – রবি ১০-৫
শেয়ার করুন :





