প্রত্যেক রুচিশীল বাড়ির একটা ব্যাক্তিত্ব আছে।একটা বাড়ির সাজে তাতে বসবাস করা মানুষদের সৃজনশীলতা আর ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে।এমন অনেক বাড়িতে ঢুকলেই তার অন্দরসাজ রুচি আমাদের মন ভালো করে দেয়।বাড়ি ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে রুচিশীল বিচক্ষণতায় সৌন্দর্য আর আভিজাত্যের মেলবন্ধন।
বিখ্যাত ইন্টেরিয়ার ডিজাইনারদের কিছু মূল্যবান টিপস-
সবুজের সমাহার
আমরা সবাই প্রকৃতিপ্রেমিক তাই সবুজের ছোঁয়ায় মন তাজা হয়ে ওঠে। ঘরে একটা শেল্ফে টবে সবুজ গাছ ঘরের আবহাওয়া সতেজ রাখে।সেটা একটা বইয়ের তাকেও হতে পারে।
ডিজাইন স্টাইল আর ল্যামিনেশন
একটা ডিজাইন ঠিক করে নিয়ে তবেই পুরো ঘর সাজানো উচিত নইলে পুরো সাজানোর পরিশ্রম আর খরচ খাপছাড়া বেমানান হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে স্ক্র্যাচ প্রুফ ল্যামিনেশনের দিকে নজর দেওয়া উচিত। মনে রাখা দরকার পুরো বাড়ি সাজানোর মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকা উচিত নইলে এক ঘর থেকে আর এক ঘরে গেলে মনে হবে অন্য বাড়িতে চলে এলাম।
ল্যামিনেশনের ক্ষেত্রে হাই প্রেশার,লো প্রেশার ল্যামিনেট নির্বাচন জরুরি।গ্লসি,উডেন,ম্যাট, টেক্সচার্ড, সলিড কালার,ডিজিটাল প্রিন্টসের নানারকম নানা সাজের ল্যামিনেশন এখন আপনার হাতের কাছে আর সাধ্যের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
সঠিক ভারসাম্য
একগাদা জিনিস এনে ঘর সাজালেই তা খুব দৃষ্টিসুখের কারণ নাও হতে পারে।চাই সঠিক ভারসাম্য আর কন্ট্রাস্টের সমাহার।ডার্কের সঙ্গে লাইট,উজ্বল লিনেনের সঙ্গে অফ হোয়াইট ম্যাট ফিনিশ। আলোর সঠিক চয়ন এখানে খুব জরুরি। অ্যান্টিক কিছু থাকলেই তা এক জায়গায় জোর করে রাখা বাঞ্ছনীয় নয়।
কালার প্যালেট
রঙের ক্ষেত্রে একটা সার্বিক কালার প্যালেট রাখা জরুরি।ব্যালেন্স এমন হতে পারে ৬০:৩০:১০।৬০% প্রাইমারি কালার (দেওয়াল),৩০% আপহলস্ট্রি (পর্দা) আর ১০% সোফা,কুশন কালার এমন।
ছবি- শাটারস্টক,পিন্টারেস্ট
শেয়ার করুন :