বিদ্যা বালান,যীশু সেনগুপ্ত, সান্যা মালহত্রা, অমিত সাদ
পৃথিবী বিখ্যাত, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড,অঙ্কশাস্ত্রে মহাপন্ডিতদের বিস্ময় আর সম্ভ্রম উদ্রেককারী সেলিব্রেটেড ‘হিউম্যান কম্পিউটার’ শকুন্তলা দেবীর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে এতদিন সবই সাধারণের কাছে অজানা ছিল।
ছবির পরিচালক অনু মেনন বলেছেন সত্য ঘটনার অবলম্বনে এই গল্প হলেও এটাকে ঠিক বায়োপিক বলা যায় না।
বিদ্যা বালানের আর একটি অত্যাশ্চর্য সাবলীল অভিনয়,যাকে গেটিং ইনটু দ্য স্কিন অফ দ্য ক্যারেক্টার বলে সেখানে আমরা তার ছোটবেলায় এক দুঃখী চাইল্ড প্রডিজি দেখি যার বাবা তাকে টানতে টানতে এক শো থেকে আর এক শো নিয়ে যায় যে খেলাচ্ছলে এক নিমেষে কঠিন সংখ্যার কিউব রুট বলে দিতে পারে ই এই মহিলা বড় হয়ে কি করে আর পাঁচজনের মত হবে ? ইংল্যান্ডে এক নিজের জীবন শুরুর দিনগুলো, কাউকে চেনেনা ,জানেনা ,ব্রাউন একসেন্ট ,রঙিন শাড়ি আর পিগটেল চুলে বেমানান কিন্তু অসামান্য ,যেখানে সে সবচেয়ে আত্মমগ্ন সংখ্যায়, নাম্বারে আর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন দুনিয়াকে ।
দুরূহ ,ভয়ঙ্কর কঠিন নাম্বার সল্ভ করার পর যখন তিনি বলে ওঠেন ‘আমি কি কারেক্ট ?’ তখন ছবির চরিত্ররা আর দর্শকেরা একই রকম উচ্ছাসে ফেটে পড়ে ই
এর পড়ে জীবনে পার্টনার হিসেবে যীশু সেনগুপ্তের প্রবেশ।অনেক পথ,চড়াই ,উৎরাই পেরিয়ে যীশু বলিউডে নিজের অস্তিস্ত্বর প্রমাণ দিয়ে চলেছেন একের পর এক ছবিতে তার গুরুত্বপূর্ণ সাবলীল দক্ষতায় যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে ।
শকুন্তলা যে নর্মাল মহিলা নয় ,তার যাপন যে সাধারণ, আটপৌরে হতে পারে না এই বিষয়টা ছবিতে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে I অসুখী মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে, সংখ্যাতত্বে অবর্থ্য কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থ এই ভাঙ্গাগড়ায় অবিস্মরণীয় বিদ্যা বালানের অভিনয়।
কিছু দৃশ্যপট যদি আর একটু ডিটেল দাবী করে,যেমন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর রাজনৈতিক উচ্চাশা, দাম্পত্যের ভাঙাগড়া সম্পর্কের মধ্যে সমকামীতা নিয়ে বই লেখা।
শেয়ার করুন :