সুধীর চক্রবর্তী
‘প্রথম থেকে শেষ অবধি যে বিশেষত্বটা রবীন্দ্রনাথের সব রচনার মধ্যে একটা ঐক্য স্থাপন করেছে,সেটা হলো এর বাঙালিত্ব।তবে বাংলা রাগসঙ্গীত,কীর্তন,রামপ্রসাদী,লোকসঙ্গীত বা নিধুবাবুর টপ্পায় যে বাঙালি ভাব,এটা সেভাবে নয়।এটা হলো রবীন্দ্রনাথের একান্ত নিজস্ব একটি বিশেষ শ্রেণীর বাঙালিয়ানার সাঙ্গীতিক প্রকাশ।রবীন্দ্রনাথের রুচি,তাঁর সংস্কার,তাঁর পরিবেশ,শিক্ষা-দীক্ষা,শিল্পবোধ,সাহিত্যবোধ-অর্থাৎ তাঁর পুরো চরিত্রটাই এই গানে প্রতিফলিত।এটাও লক্ষণীয় যে গানই তাঁর একমাত্র সৃষ্টি যার পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে কাব্য-উপন্যাসের তুলনায় বিবর্তনের মাত্রাটা এখানে অনেক কম।’
রবীন্দ্রসংগীত সম্বন্ধে ভাবগ্রাহী অথচ বিতর্কযোগ্য এই মন্তব্য করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।এখানে বাঙালিত্ব বলতে ঠিক কী বোঝায় টা স্পষ্ট করে বোঝানোর দায় নেননি তিনি,তবে ইঙ্গিত রেখে গেছেন।গড়পড়তা বাঙালি যে ভাবাবেগ ও রুচিবোধের দ্বারা চালিত হয়ে এসেছে,তার বিনোদনে ও শিল্পে যে শিথিল ও জনপ্রিয় উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ তা অনুমোদন করেন নি।সেইজন্য রুচিদুষ্ট কবিওয়ালাদের গান এবং মার্গসংগীতের নামে ওস্তাদি ও তানবাজিকে তিনি নিন্দা করেছেন।
সত্যজিৎ রায় তাঁর জীবন গঠনে ও শিল্পরুচির অনন্য বিন্যাসে রবীন্দ্রমানসের অনিবারণীয় ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পেরিয়ে এসেছেন কিন্তু কদাচ এড়িয়ে যান নি।রবীন্দ্রসংগীতের স্বচ্ছ ও সাবলীল ভূমিকা যে পরিবারে এতটা অনর্গলিত সেই পরিবারের জাতক সত্যজিৎ রবীন্দ্রসংগীতের গহন মগ্ন ঐশ্বর্য ও বৈচিত্র লাভ করেছিলেন ব্যাপক বিস্তারে ও মনের গভীরে।
রবীন্দ্রসংগীত সম্পর্কে সত্যজিতের প্রথম বক্তব্য:
রবীন্দ্রসংগীতের একটা স্বকীয় বৈশিষ্ট আছে যেটা আগে কোনো ভারতীয় গানে ছিল না।…মার্গসংগীতেই হোক বা লোকসংগীতেই হোক,ভারতবর্ষে চিরকালই যে জিনিসটার ওপর জোর দিয়ে আসা হয়েছে সেটা হল গানের জাত।কীর্তনকে কেউ ভুল করেও খেয়ালের মতো গায়না,বা বাউলের সঙ্গে পাখোয়াজ বাজিয়ে তাকে ধ্রুপদের আসনে বসানোর চেষ্টা করেনা।এক গানের গাইবার রীতি অন্য গানে প্রয়োগ করা হয় না,কারণ তাদের জাত আলাদা।
সত্যজিৎ এরপর সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে,প্রচলিত নিয়মে রবীন্দ্রসংগীতের জাত বলে বোধহয় কিছু নেই কেননা তিনি জাতের কথা ভাবেন নি।তাঁর লক্ষ্য ছিল অন্য ধরণের।এক-একটি বিশেষ ভাবকে বিশেষ কথা বিশেষ সুর-ছন্দে প্রকাশ করার দিকে ছিল তাঁর সাংগীতিক সৃজনস্বভাবের প্রবণতা।
সাক্ষাৎকারে সত্যজিতের ভাষ্য:
১) রবীন্দ্রনাথের গানে আমরা বারবার দেখতে পাচ্ছি তার কথার মেজাজ সুরের মেজাজ রাগাশ্রিত হলেও সেখানে আর একটু সহজ করে নেওয়া,মোলায়েম করে নেওয়া…অর্থাৎ আলাদা করে চিনে নেওয়ার মতো।Composer কে চিনে নেওয়ার মতো।
২)রবীন্দ্রনাথের পরিবেশ তো নিধুবাবুর পরিবেশ নয়।…তাঁর পরিবেশ ছিল অনেক মার্জিত।সেটা ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ অর্থাৎ যে সমাজে তিনি মানুষ তার যে একটা ছাপ রয়েছে তা আরও একটু মার্জিত।…সেটার সঙ্গে নিধুবাবুর টপ্পার মিল নেই।…সেটা -শ্রেণী অর্থাৎ সোশ্যাল ক্লাস।সেই গানের কথা ও সুর শুনলেই বোঝা যাবে যে নিধুবাবু ও রবীন্দ্রনাথ এক সামাজিক স্তর থেকে আসেন নি।
সত্যজিৎ রায় তাঁর প্রবন্ধে ও সাক্ষাৎকারে গীতস্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেই সূত্রে কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছেন।প্রথমে তাঁর কয়েকটি সিদ্ধান্ত লক্ষ্য করা যেতে পারে।যেমন:
১)তিনি গলা সাধেন নি,বা সাধলেও তাঁর ইস্কুলে পড়ার মতোই সে সাধনা অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়েছিল।…তাঁর গলার ‘কাজ’ খুব বেশি ছিল না।অন্তত যে কাজে খেয়ালের তান হয় তা তো নয়ই।
২)রবীন্দ্রনাথের চরিত্রের একটি বিশেষত্ব বেশ লক্ষ্য করা যায় যে,তাঁর সহজাত ক্ষমতার বাইরে কোনো কিছু শিখে আয়ত্ত করে তাঁর চিরকালই একটা আপত্তি ছিল।তাঁর শিক্ষায়তনের বিরুদ্ধে আপত্তিটা অ্যাকাডেমিক সব কিছুর বিরুদ্ধেই ছিল।তাঁর শিল্পবোধ ছিল সহজাত,ইন্সটিন্কটিভ।
৩)সংগীতের বেলা রবীন্দ্রনাথ অ্যাকাডেমিক পদ্ধতির অনেক কিছু গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।তান জিনিসটা বাদ দিয়েছিলেন তার একটা কারণ বোধহয় এই যে সেটা তাঁর আয়ত্ত ছিল না।তবে রাগসঙ্গীতের প্রতি তাঁর ঋণ কম নয়।খাম্বাজ,বেহাগ,পিলু,কাফি,ভৈরবী,ইমন,দেশ,পূরবী ইত্যাদি বহু রাগ রাগিনী; ত্রিতাল,দাদরা,খেমটা,কাহারবা কাওয়ালি তেওড়া প্রভৃতি তাল ;গানের আস্থায়ী অন্তরার ভাগ-এ সবই তাঁর অনেক গানেই অবিকৃতভাবে পাওয়া যায়।বোধহয় ঠাকুরবাড়ির সাংগীতিক আবহাওয়া ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পিয়ানোতে রাগোচ্ছ্বাস তাঁর প্রথম দিকের রচনাকে প্রভাবিত করেছিল।
রবীন্দ্রসংগীতের অন্যতর একটা দিক নিয়ে সত্যজিৎ বেশ সমালোচনাপ্রবণ,সেটা তাঁর লোকসংগীতের সুর সংযোজন সম্পর্কে।সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের একটি উক্তি প্রথমে উদ্ধৃত করেছেন,যাতে বলা হয়েছে: ‘অধিকাংশ আধুনিক বাউলের গানের অমূল্যতা চলে গেছে,তা চলতি হাটের সস্তা দামের জিনিস হয়ে পথে বিকোচ্ছে।’খাঁটি পল্লিসংগীতে তাঁর আস্থা এবং তার সুর ও চালের প্রতি অন্তরের টান রবীন্দ্রনাথের সংগীতজীবনে প্রবলভাবে ছিল।১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় তিনি বাংলা লোকসংগীত ভেঙে বহু গান রচনা করেন,যার সুর অবিকল রাখা আছে।এমন চারখানা গান সত্যজিৎ তার চলচ্চিত্রে কণ্ঠে ও যন্ত্রে ব্যবহার করেছেন।কণ্ঠে আছে ;বিধির বাঁধন কাটবে তুমি'(‘রবীন্দ্রনাথ’ ও ‘ঘরে বাইরে’) ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে'(‘রবীন্দ্রনাথ’)।বাঁশিতে আছে ‘আমার সোনার বাংলা (‘অপুর সংসার’)।যন্ত্রে আছে ‘গ্রামছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ'(‘অরণ্যের দিনরাত্রি’)।
সুভাষ চৌধুরী তাঁর সাক্ষাৎকারে সত্যজিৎ রায়কে প্রশ্ন তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের গানে যখন একটা স্পষ্ট সোশ্যাল ক্লাসের পার্থক্য রয়েছে,প্রসঙ্গত এই প্রশ্ন এসে পড়ে যে রবীন্দ্রসংগীত আম জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে কি?দীর্ঘদিন ধরে রবীন্দ্রসংগীত শহরকেন্দ্রিক হয়ে রইল তার কারণ ও কি ঐ সোশ্যাল ক্লাস? সত্যজিৎ জবাবে বলেছেন:সেটা ঐ কারণেই।কোনো দিনই হবে না।সমাজ যদি কোনোদিন এক হয়ে যায় তবে হবে।সেইজন্য আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথের গান শিক্ষিতদের গান।…যাকে বলে নিজের করে নেওয়া,যা নিজের মনে করে গাওয়া.সেটা শিক্ষিত বাঙালির পক্ষে প্রযোজ্য।
সত্যজিতের এই বিশ্বাস তার চলচ্চিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।তার সংগীত পরিচালনায় যে ছবিগুলো হয়েছে তার মধ্যে যে চরিত্র রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছে তাদের সোশ্যাল ক্লাস উচ্চবিত্ত কিংবা উচ্চ মধ্যবিত্ত।
যেমন মণিমালিকা (‘মণিহারা’),অমল ও চারু (‘চারুলতা’),সন্দীপ (‘ঘরে বাইরে’),মনমোহন ও অনিলা (‘আগন্তুক’),লাবণ্য (‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’),মায়া (‘গণশত্রু’),তপতি (‘শাখাপ্রশাখা’),করুণা (‘কাপুরুষ’), লক্ষ্য করার এটাও বিষয় যে রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনে রচিত সংগীত সম্বন্ধে সত্যজিৎ রায়ের বেশ দুর্বলতা আছে।বিলিতি সুরভাঙ্গা রবীন্দ্রগীতি ব্যবহারে তার ঝোঁক প্রবল।
সত্যজিৎ তার পছন্দের কিছু রবীন্দ্রসংগীত ‘এক্ষণ’ পত্রিকার প্রবন্ধে বেছে দিয়েছেন ভবিষ্যৎ শ্রোতাদের জন্য-
অন্ধজনে দেহ আলো – ১২৯২
বাজিল কাহার বীণা – ১৩০১
আছে দুঃখ আছে মৃত্যু – ১৩০৯
তুমি কেমন করে গান কর – ১৩১৬
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি – ১৩১৭
মোর বীণা ওঠে কোন সুরে – ১৩২৬
মম চিত্তে নীতি নৃত্যে – ১৩২৭
যদি তারে নাই চিনি গো – ১৩২৯
না যেয়ো না যেয়ো না – ১৩২৯
অনেক দিনের শূন্যতা মোর – ১৩৩৪
বেদনা কী ভাষায় রে – ১৩৩৭
এবারে পাঠকদের কৌতূহলপ্রদ যে তালিকা প্রণয়ন করছি তাতে আছে চলচ্চিত্রে সত্যজিৎ-ব্যবহৃত রবীন্দ্রগীতির (কালানুক্রমিক)সম্পূর্ণ সূচি।কণ্ঠে বা যন্ত্রে এই গানগুলি তিনি কোন না কোনোভাবে তাঁর চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেছেন.সম্পূর্ণ বা খণ্ডিত রূপে।প্রথমে কণ্ঠ সংগীত:
গানের প্রথম পংক্তি | ছবির নাম | গান রচনার সাল | সম্পূর্ণ বা অংশ |
রিমঝিম ঘন ঘন রে | রবীন্দ্রনাথ | ১২৮৮ | অংশ |
কালী কালী বলো রে | রবীন্দ্রনাথ | ১২৮৮ | সম্পূর্ণ |
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে | চারুলতা | ১২৮৯ | সম্পূর্ণ |
এ পরবাসে রবে কে | কাঞ্চনজঙ্ঘা | ১২৯১ | সম্পূর্ণ |
মরি লো মরি আমায় বাঁশিতে | শাখা প্রশাখা | ১২৯১ | অংশ |
অন্ধজনে দেহ আলো | আগন্তুক | ১২৯২ | অংশ |
তবু মনে রেখো | রবীন্দ্রনাথ | ১২৯৪ | অংশ |
বাজিল কাহার বীণা | আগন্তুক | ১৩০১ | সম্পূর্ণ |
আমি চিনি গো চিনি | চারুলতা | ১৩০২ | সম্পূর্ণ |
বিধির বাঁধন কাটবে তুমি | রবীন্দ্রনাথ/ঘরে বাইরে | ১৩১২ | অংশ/সম্পূর্ণ |
আজি বাংলাদেশের হৃদয় | রবীন্দ্রনাথ | ১৩১২ | অংশ |
ঘরেতে ভ্রমর এলো | অরণ্যের দিন রাত্রি | ১৩১৮ | অংশ |
এখনও গেল না আঁধার | গণশত্রু | ১৩২৬ | অংশ |
জয় হোক নব অরুণোদয় | রবীন্দ্রনাথ | ১৩২৮ | অংশ |
ছায়া ঘনাইছে বনে বনে | জন অরণ্য | ১৩৩০ | অংশ |
এ পথে আমি যে | কাপুরুষ | ১৩৩২ | অংশ |
আমার মুক্তি আলোয় আলোয় | রবীন্দ্রনাথ | ১৩৩৩ | সম্পূর্ণ |
বাজে করুন সুরে | মণিহারা | ১৩৩৭ | সম্পূর্ণ |
হৃদয় মন্দ্রিল ডমরু গুরু গুরু | রবীন্দ্রনাথ | ১৩৪০ | সম্পূর্ণ |
অর্জুন তুমি অর্জুন | কাপুরুষ | ১৩৪৩ | অংশ |
মাটি তোদের ডাক দিয়েছে | মহানগর | ১৩৪৫ | অংশ |
ঐ মহামানব আসে | রবীন্দ্রনাথ | ১৩৪৮ | অংশ |
বাঁশি বা অন্য কোন নেপথ্য যন্ত্রে রবীন্দ্রনাথের যেসব গান আবহ সংগীত রূপে সত্যজিৎ রায় ব্যবহার করেছেন তার উল্লেখ এবার করা যাক/’যদি তারে নাই চিনি গো’ এবং ‘আমার সোনার বাংলা’-র সুর ব্যবহৃত হয়েছে ‘অপুর সংসার’ছবিতে,’ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে’ ব্যবহৃত ‘দেবী’-তে,’পোস্ট মাস্টার’-এ ‘আমার মন মানে না’,’চারুলতা’য় ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যে’,’অরণ্যের দিনরাত্রি’তে ‘গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ’ (‘অশনি সংকেত’ ছবিতেও) এবং ‘ঘরে বাইরে’-তে ‘একী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ’/প্রসঙ্গত উদ্ধৃতি যোগ্য চিদানন্দ দাসগুপ্ত-র মন্তব্য:The melodies have a life of their own…and echo feelings which for Bengali audiences,cannot be totally divorced from the meaning of the words associated with them. (The Cinema of Satyajit Ray .pp84)
রবীন্দ্রগীতির টুকরো একটা দুটো পংক্তি সত্যজিৎ কখনো ব্যবহার করেছেন এমন পরিকল্পিত কুশলতায় তাঁর কোন দৃশ্যপটে,যা তাঁর আগে আমরা দেখিনি।’জন অরণ্য’-তে এক অন্তঃক্ষোভময় মুহূর্তে রেডিওতে শোনা যায় ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। ‘গণশত্রু’-তে ডঃ অশোক গুপ্ত আর তাঁর ভাই চেয়ারম্যান নিশীথ গুপ্তের মর্যাদা ও আত্মসম্মানের মাঝখানে,দেব মাহাত্ম্য ও মানবিক শুভবুদ্ধির সঙ্কটজনক দ্বন্দ্বে ডঃ গুপ্তর স্ত্রী মায়া বুঝি আপন মনেই গেয়ে ওঠে দুঃখের গান:’এখনো গেল না আঁধার/এখনো রহিল বাধা’।তাঁর অন্তঃসত্ত্বাতেও তো তেমন করে আঁধার ঘোচেনি,কাটেনি বাধার বলয়,তাই এই গান যথার্থ।
সত্যজিতের চলচ্চিত্রে পূর্ণ বা অংশত আরোপিত নানা রবীন্দ্রসংগীতের আলোচনার সমাপ্তিরেখা আপাতত এখানে টেনে আমরা ভিন্ন প্রসঙ্গে যেতে পারি।সতর্ক পাঠক প্রশ্ন তুলবেন তাঁর ছবির সব কটি রবীন্দ্রগীতির পর্যালোচনা তো হল না।হল না,তার কারণ বাকি অনালোচিত গানগুলি বুঝতে হবে আরেক বিন্যাস ও ব্যাপ্তিতে।
নির্বাচিত অংশ -বাংলা ফিল্মের গান ও সত্যজিৎ রায় -সুধীর চক্রবর্তী-প্রতিক্ষণ পাবলিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড।
শেয়ার করুন :