খেলব হোলি রং দেব না তাই কখনও হয়?
এবারে দোল খেলার হুল্লোড়ে নিজের ও পরিবারের জীবন বিপন্ন হতে পারে বলছেন ডাক্তার আর বিশেষজ্ঞরা।সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে ও অন্য রাজ্যে করোনাহানা ভয়ঙ্কর বৃদ্ধিতে,নাইট কারফিউ, লকডাউন এসব অশনি সঙ্কেত দেখেও ভ্রুক্ষেপহীন বেশিরভাগ রাস্তাঘাটে বেমালুম মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়িয়ে নিজেদের ও পরিবারের সকলের সংক্রমণের ঝুঁকি ভীষণ বাড়িয়ে তুলছেন।
সিডিসি,আইসিএমআর,হু, এইমস এর সতর্ক উদ্বেগ আর পরামর্শ:
১) এ বছর দোল /হোলি উৎসব পালনে বিরত থাকা শ্রেয়।
২)করোনা চলে যায়নি।এমন চলতে থাকলে আগামী জুন মাসের মধ্যেই আবার সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে।
৩)সম্প্রতি তটস্থ জনস্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে দৈনিক ৪০০০ সংক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন যদিও নাইসেড প্রাক্তন অধিকর্তা বলছেন তার অনেক আগেই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে।
৪)করোনা এড়াতে সবসময় মাস্ক পরে থাকা,স্যানিটাইজার,দূরত্ব বজায় রাখা,বাড়িতে ফিরে সাবান দিয়ে হাতমুখ ধোওয়া,সার্ফেস ডিসিনফেক্টেন্ট স্প্রে ও ভেপার নেওয়াJ কঠোরভাবে ব্যবহার ও অভ্যাস করতে হবে।
৫)প্রয়োজন ছাড়া ভীড় এড়িয়ে যেতে হবে।
৬)বাচ্চা আর বয়স্কদের বাড়ির বাইরে যেতে না দেওয়া।
৭)এখন পার্টি,উৎসব,অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা উচিত।
৮)হসপিটালে রোজ করোনা আক্রান্ত বাড়ছে।গত শনিবারে ৩৮৩ জন নতুন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
৯) এর প্রধান কারণ গত ৪/৫ মাসে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি কমে যাওয়ায় করোনা চলে গেছে ধরে নিয়ে ভীড়,গণপরিবহনে বেশিরভাগ মানুষের বেপরোয়া, অসতর্ক,উদাসীন মনোভাব।
১০) বাজার থেকে আনা সব্জী,ফল,আনাজ ফ্রুট আ্যন্ড ভেজিটেবল ওয়াশ জলে দিয়ে তার মধ্যে সব ভিজিয়ে ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে ব্যবহার করুন।
১১)অনেকেই উপেক্ষা করেন জুতো।বাইরে থেকে ফিরে জুতোয় সার্ফেস ডিসিনফেক্টেন্ট স্প্রে অবশ্যই ব্যবহার করুন।
১২)রোজ জল ফুটিয়ে ভেপার নেওয়ার ঝামেলা এড়াতে অনলাইনে স্টিমার ভেপরাইজার ব্যবহার করুন।দাম শুরু মাত্র ২৮৯ টাকায়।
কঠোরভাবে করোনা সংক্রমণ সাবধানতা ও সুরক্ষারীতি মেনে সতর্ক থাকুন।সজাগ থাকুন।দ্বিতীয়বারের সম্পূর্ণ লকডাউন ভয়ঙ্কর বিপর্যয় শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নয় সঙ্গে অর্থনীতিও পুরো ভেঙে পড়তে পারে।
শেয়ার করুন :