১) সবচেয়ে ভাল যত সম্ভব কম এক্সপোজার,অর্থাৎ প্রয়োজন না থাকলে একদম বাইরে না বেরোনো।
২) বাইরে,অফিসে,কাজের জায়গায়,ট্রান্সপোর্টে কারুর ক্লোজ কন্ট্যাক্টে না যাওয়া এবং ৬ ফিট দূরত্ব মেনে চলা।এটা নতুন গাইডলাইন নয় কিন্তু মনে রাখতে হবে এক্সপার্টদের মতে এই নিয়ম মেনে চলা হচ্ছেনা বলে সংক্রমণ বাড়ছে।
৩) বাড়ির বাইরে মাস্ক কখনোই খুলবেন না।মুহূর্তের অসতর্কতার আর অসাবধানতাই বিপদ ডেকে আনতে পারে। ধুর কিছু হবেনা মানসিকতায় নিজের এবং পরিবারের প্রাণ নিয়ে খেলা করছেন কিনা ভেবে নিন।
৪) বাইরে থেকে এসে মিনিমাম ২০ সেকেন্ড সাবান জলে হাত ধুন। বিশেষত খাবার আগে,বাড়িতে বাচ্চাদের ছোঁয়ার আগে,চোখে মুখে হাত দেওয়ার আগে, ওয়াশরুম থেকে ফিরে, বাড়ির পোষ্যদের ছোঁয়ার আগে। যেখানে সাবান দুর্লভ সেখানে ৬০% অ্যালকহল দেওয়া স্যানিটাইজার আর যেখানে সাবান আছে সেখানে স্যানিটাইজার প্রয়োজন নেই।
৫)ফ্ল্যাটের বাইরে,কমপ্লেক্সে,আশে-পাশে,প্রতিবেশীদের সঙ্গেও মিনিমাম ৬ ফুট দূরত্ব রেখে কথা বলুন
কারণ আপনার জানা নেই উনি অ্যাসিম্পটোম্যাটিক কিনা। আপনার এই ব্যবহারে ওনারা বিরক্তি বা ব্যঙ্গ প্রকাশ করলেও আপনি পরিবারের জন্য কঠোর ভাবে এই সেফটি প্রিকশন মেনে চলুন।
৬) ২/৪ বছরের বাচ্চাদের মাস্ক পরাবেন না আর বাইরে বাধ্য হয়ে পড়লে সবসময় নজরে রাখুন যাতে তাদের নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে না হয়।
৭) আপনার বাড়ির ও অফিসের সব জায়গা,টেবিল,ডোর নব,লাইট সুইচ,ফোন,কি-বোর্ড,বেসিন যতটা সম্ভব ডিসিনফেক্ট করুন।স্যাভলন,ডেটল,লাইফবয় আরও অনেক স্প্রে সুলভে পাওয়া যাচ্ছে।
৮) আপনার নিজের শরীর ঠিক আছে কিনা চেক করুন। এই সিজন চেঞ্জের সময় একটু আধটু সর্দি কাশি নর্মাল হলেও একে অবহেলা করা উচিত নয়।সিম্পটম না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ‘আমার কিছু হবে না’ মনে করার কোনও কারণ নেই। শরীর খারাপ লাগলে নিয়মিত টেম্পারেচার চেক করুন, তবে সেটা এক্সারসাইজ করার পর বা ওষুধ খাবার পরে নয়।
৯) মন ভাল রাখুন: রোজ খবরের কাগজে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা সংক্রান্ত খবরে আর অন্যান্য মন খারাপ করা খবর থেকে যতটা সম্ভব দূরে থেকে মন ভাল রাখার চেষ্টা করুন কারণ ডাক্তারদের অভিমত অ্যাংজাইটি এই সময় মনকে ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দেয়।
১০) ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মুড়ি মুড়কির মত ওষুধ খাবেন না।
নিয়ম মেনে চলুন। নিউ নর্মালে নিজেকে আর পরিবারের সকলকে সুস্থ্য রাখুন।
শেয়ার করুন :