সম্প্রতি দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক সুস্থ্যতার থেকে বেশি। দিল্লি সরকার মাস্ক না পরে বেরোনোর জরিমানা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করতে বাধ্য হয়েছে। কেন্দ্র থেকে রাজস্থান মনিপুর,হরিয়ানা,গুজরাটে নতুন পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছে।
CDC ,WHO, Johns Hopkins Medicine এক্সপার্ট গাইডলাইন্স:
- প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো একদম নয়। সম্প্রতি দুর্গাপুজো,কালীপুজো এর বড় প্রমাণ যে আমরা সতর্ক থাকতে পারি।
- এতদিন ঘরে দমবন্ধ হয়ে মুক্তির উল্লাসে বেরোনো প্রাণঘাতী হতে পারে যতদিন না ভ্যাকসিন আসছে।
- বয়স্ক,বাচ্চাদের আর বিশেষত যাদের কোমর্বিটি আছে তাদের বাড়িতে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
বাজারে বেরোলে:
- রোজ বাজার বন্ধ করতেই হবে।সম্ভব হলে ১৫ দিনের বাজার একসঙ্গে করে রাখা,নিদেনপক্ষে সপ্তাহে একবার বাঞ্ছনীয়।
- শাক সব্জি,ফল এনে ভেজিটেবল ওয়াশ জলে দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করুন। এতে গায়ে লেগে থাকা রাসায়নিক ও ধুয়ে যাবে।
- অনলাইন শপিং,প্রায় সব পাওয়া যায়।
- প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এক মাসের কিনে রাখা।
কাজে বেরোলে
- সঙ্গে মাস্ক স্যানিটাইজার,স্প্রে,মাউথ প্রটেক্ট স্প্রে (ব্যবহার করে বেরোনো)
- পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কখনোই চোখে মুখে হাত নয় আর যতটা সম্ভব ডিস্টেন্স মেন্টেন করা আর স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
- সম্ভব হলে মোড অফ ট্রান্সপোর্ট বদলে আসা যাওয়া।
- ফ্যান্সি নয় মিনিমাম থ্রি লেয়ার্ড মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে একটু আলগা হলেই চেঞ্জ করতে হবে।
অফিসে /কর্মস্থলে
- প্রথমেই সাবান জলে ভাল করে (মিনিমাম ২০ সেকন্ড) হাত ধুতে হবে।
- বসার/কাজের চেয়ার টেবিল সিস্টেম স্যানিটাইজার স্প্রে করতে হবে ,
- অফিসে ভুল করেও মাস্ক খোলা যাবেনা ,তবে ব্রেকে বাইরে ফাঁকা দেখে কিছুক্ষণ খুলে রাখা আবার পরা যেতে পারে।
- একসঙ্গে গল্প করতে করতে ব্রেকে চা খাওয়া চলবে না ।নিজস্ব কাপ রাখা ভাল।
- বাড়ি থেকে লাঞ্চ নিয়ে আসা। একা লাঞ্চ করা,দলবেঁধে একদম নয়।
- ওয়াশ রুম ব্যবহার করার আগে পরে ভাল করে হাত ধুতে হবে।
অফিস/কাজ থেকে বাড়ি ফিরে
- ব্যাগ,সঙ্গের জিনিসপত্র সারফেস ডিসিনফেক্ট্যান্ট স্প্রে করে রাখা আর সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে সাবান দিয়ে স্নান করে তবেই পরিবারের কাছে।
মনে রাখতেই হবেঃ
- ব্যালান্স ডায়েট আর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া। অত্যধিক তেল মশলা আর বাইরের খাবার যত বাদ দেওয়া যায় তত ভাল।
- এই সময় সামাজিক অনুষ্ঠান,নিমন্ত্রণ,গেট টুগেদার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত নিজের এবং পরিবারের স্বার্থে তাতে মনোমালিন্য হলে কিচ্ছু এসে যাবে না।জীবন আগে, সম্পর্ক পরে।
- সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মানে গ্রূপে আড্ডা বা ভ্যাকেশনে বেড়ানো নয় ,নিজের বা ছেলেমেয়েদের বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে পার্টি থেকে বিরত থাকতে হবে।’এ বড় সুখের সময় নয়’।
এই সময় নিজের,পরিবারের,আত্মীয় স্বজনের,স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য দায়িত্বপূর্ণ সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী।
শেয়ার করুন :