ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের ক্লাস সিক্সের ১২ বছরের সাগরিকা ভড় করোনা আক্রান্ত হয়েও নির্ভয়ে দৃঢ়চিত্তে দুর্দান্ত স্পিরিটে অনলাইন ক্লাস,ভার্চুয়াল বন মহোৎসব উৎসবে পার্টিসিপেট করে এখন সুস্থ্য হয়ে উঠেছে।সাগরিকা আর মা পারমিতা সিঁথির বিনায়ক কমপ্লেক্সের বাসিন্দা।দুজনেরই করোনা হওয়ায় ফর্টিস হসপিটালের হোম প্যাকেজ নিয়ে সুস্থ্য হলেও এখন হোম আইসোলেশনে আছে।
আশার কথা ওই কমপ্লেক্সের সবাই ওদের পাশে ছিলেন কারণ ওনারা একটা কোভিড সাপোর্ট গ্রূপ তৈরী করে ফেলেছেন যারা এই সময়ে সবার পাশে থাকছেন। এই ২০ দিন ওরা বাড়িতে বাথরুম সংলগ্ন একটা ঘরে ছিল এবং ডিসপজেবল পাত্রে খাওয়া দাওয়া করেছে।
পারমিতার কথায় ‘ প্রথমে ছোট্ট ক্লাস সিক্সের দিয়া (সাগরিকা) একটু নার্ভাস থাকা আর উইকনেসের জন্য দু তিন দিন অনলাইন ক্লাস মিস করা ছাড়া ২০ দিন অনলাইন ক্লাস, ছবি আঁকা আর নানা সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে এনগেজ করে রেখেছিল।পাশে মার ‘কিচ্ছু হবেনা’ আশ্বাস ওর কনফিডেন্স বাড়িয়ে দিয়ে ছিল।’ কিন্তু এই বয়েসে ওর অসম্ভব, অকল্পনীয় সাহস, প্রত্যয় আর ম্যাচুইরিটি তে সবাইকে স্তব্ধভাষ,রুদ্ধশ্বাস বিমুগ্ধ,বিমূঢ় ও বিস্মিত করে দিয়েছে।
রোজ সকালে উঠে কাগজে,টিভিতে,ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত,মৃত্যুহার সংখ্যা বৃদ্ধির,কর্তব্যরত ডাক্তার,পুলিশ,সরকারি আধিকারিক,সিভিক ভলেন্টিয়ার,রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,প্রিয়জনের,সেলিব্রিটির আক্রান্ত হওয়ার,চলে যাওয়ার খবরে ত্রাস ,দুশ্চিন্তা আতঙ্কের মধ্যে দৃঢ়চেতা, ইনডমিটেবল স্পিরিটের সাগরিকা আমাদের উজ্বল আলো দেখাল।
ক্লাস সিক্সের সাগরিকার মেসেজ ‘টেক ইট ইজি। অযথা ভয় পাবেন না।এই সময়ে ক্রিয়েটিভ,মিনিংফুল কাজ করুন।’
আমরা দিন রাত করোনা দুশ্চিন্তা ,আতঙ্ক ভয়ের মধ্যে সাগরিকার কাছ থেকে সাহস, কনফিডেন্স আর পসিটিভিটি শিখতে পারি না ?
শেয়ার করুন :