করোনা ভীতি কাটিয়ে পর্যটনের দ্বার খুলেছে কেরালা।কেরালাকে ভগবানের নিজস্ব দেশ বলা হয়,ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য।ছবির মতন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য,পাহাড় আর সমুদ্রের ব্যাক ওয়াটার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর সমাহার।
৫ রাত্রি /৬ দিনের ট্যুর গাইড
১ম দিন
কোচিন – সমুদ্রপারের এই প্রাচীন ঐতিহ্যশালী বন্দর ৬০০ বছর প্রাচীন। জন্ম ১৩৪১ সালে। অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। অন্যান্য প্রধান আকর্ষণঃ
ডাচ প্যালেস
মাত্তাঞ্চেরী প্যালেস ডাচ প্যালেস নামে পরিচিত ।ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত। ১৫৪৫ সালে পর্তুগিজরা এই প্যালেস তৎকালীন কেরালার রাজাকে উপহার দেন। ১৬৬৩ সালে তৎকালীন ‘ডাচ’রা এর সমৃদ্ধি ও সংস্কার করেন বলে এর নাম ‘ডাচ প্যালেস’।
কেরালার প্রাচীন’ নালীকুট্ট’ স্থাপত্যশৈলীতে তৈরী ভেতরে উঠোনে কচি রাজাদের গৃহদেবতা ‘পাঝায়ান্নার ভগবতী’র মন্দির।এই মন্দির মুরাল স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত।তামা ও কাঠের দারুন বিশাল ডাইনিং হল,এখানে পৃথিবীবিখ্যাত আশ্চর্য্য ‘কেরালা ফ্লোরিংয়ের’ নির্দর্শন দেখা যায় যাকে দেখতে পালিশ করা কালো মার্বেল পাথরের মত কিন্তু আসলে পোড়া নারকেলের খোল,চারকোল,ডিমের খোসা আর উদ্ভিদের রসে সৃষ্টি। ৪৮ অপূর্ব রামায়ণের ছবি দিয়ে ঘেরা রাজশয্যা,করোনেশন হলের পদ্মাসনে লক্ষী,শিব,পার্বতী,শ্রীরাম,শ্রীকৃষ্ণের অপূর্ব ছবি,প্যালেস মিউজিয়াম,হাতের দাঁতের পালকি এমন আরও নজরকাড়া আকর্ষণ।
জুইশ সিনাগগ
১৫৬৮ সালে স্থাপিত।একসময় এখানে যে অনেক ইহুদিদের বাসস্থান ছিল তা অনেকেরই অজানা যাদের ‘মালাবারি জিউস’বলা হত যাদের এক প্রধান অংশ পর্তুগিজদের অত্যাচারে জর্জরিত ছিল।
হিব্রু ইনস্ক্রিপ্সন,বেলজিয়ান ঝাড়বাতি,ঐতিহাসিক স্ক্রল,১৮শ শতকের হাতে আঁকা পোর্সিলিন টাইলস,ইথিওপিয়ার সম্রাটের উপহার এমন অনেক আশ্চর্য দ্রষ্টব্যর সম্ভারএখানে।
জুইশ স্ট্রিট
আপামর বাঙালি,বিশেষত মহিলারা কোথাও বেড়াতে গেলে অবধারিতভাবে কেনাকাটার হদিস করে থাকেন।কোচিনে এসে জুইশ স্ট্রিটে কেনাকাটি করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।কিওরিও, অ্যান্টিক ক্রকারি,কাঠের আসবাব,ব্রোঞ্জ,ব্রাস স্কাল্পচারে জড়ানো ইতিহাসের গল্প শোনাবেন দোকানিরা।
সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ
১৫০৩ সালে বিখ্যাত ভাস্কো দা গামার তত্বাবধানে সৃষ্টি এই ঐতিহাসিক চার্চ যেখানে ভাস্কো দা গামাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।সময়ের সঙ্গে পর্তুগিজ,ওলন্দাজ ও ইংরেজদের মধ্যে এই চার্চের অধিকার নিয়ে লড়াই চলে। এই চার্চের ভেতরের আশ্চর্য সুন্দর স্থাপত্যশৈলী ও বাইরের মনোরম পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। এছাড়াও আছে চাইনিজ ফিশিং নেটের মত দ্রষ্টব্যস্থান।
২য় দিন – মুন্নার
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,২০০ ফুট উচ্চতায় তিনটে পাহাড়ি নদীর সঙ্গমস্থল এই অনন্যসুন্দর মুন্নার,কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়,সারি সারি রুপোলি অর্জুন গাছ আর সবুজ গালিচাঘেরা চা বাগানের মাঝে মন সব ছেড়ে নিরুদ্দেশ হতে চাইবে।
৩য় দিন -রাজামালা,মাতূপেট্টি ড্যাম,ইকো পয়েন্ট,কুন্ডলা ড্যাম.ব্লসম পার্ক,টি মিউজিয়াম ঘুরে বেড়ানো।
৪য় এবং ৫ম দিন– অ্যালেপ্পি
প্রাচ্যের ভেনিস বলা হয়।কেরালার ব্যাকওয়াটার ক্যানাল, স্বর্গরাজ্য।অ্যালেপ্পি বিচ,লাক্ষাদ্বীপ সমুদ্র,পাথিরামাল দ্বীপ,সেন্ট এ্যান্ড্র ব্যাসিলিকা,শ্রী কৃষ্ণ মন্দির, ভেম্বানাদ লেক,কৃষ্ণপুরম প্যালেস,পালিপুরাম,কুট্টানার,যে আইল্যান্ড মিউজিয়াম,নাগরাজ মন্দির।
প্যাকেজ ডিটেলঃহোটেল -(থ্রি স্টার সুপার ডিলাক্স)।১৩২৫০ টাকা + জি এস টি ৫ % জনপ্রতি (ন্যুনতম ৪ জন বয়স্ক)।২ রাত্রি মুন্নার(হোটেল-এলিসিয়াম গার্ডেন –এক্সিকিউটিভ রুম,৩ রাত্রি – অ্যালেপ্পি (হোটেল- অক্সিজেন রিসোর্ট -ডিলাক্স রুম)।পিক আপ/ড্রপ : কোচি এয়ারপোর্ট।
আশার কথা শুধু কাস্টমাইজড ট্যুর প্ল্যান নয়,আপনার রেল,প্লেন বুকিং,দলবেঁধে এবং কর্পোরেট কনফারেন্স ট্যুরস এর জন্যও এখানে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিশদে জানতেঃশ্রী দিব্যেন্দু লাহিড়ী:9830220962/9830014201
শেয়ার করুন :